আমরা চার বন্ধু — রবিন, পলাশ, সাগর এবং আমি, রাশেদ। আমরা সবাই ঢাকায় থাকি এবং যার যার চাকরি কিংবা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তবুও সময় বের করে মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে বের হই। এবার ঠিক করলাম, দুই-তিন দিনের জন্য শহরের বাইরে একটু দূরে কোথাও বেড়াতে যাব। সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হলো— আমরা সিলেট যাব। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান আমাদের টানল।

অচেনা বাংলোতে এক রাত


রবিনের একটি প্রাইভেট কার আছে। আমরা ঠিক করলাম ওর গাড়িতে যাব, তাহলে ইচ্ছেমতো ঘোরা যাবে, থামা যাবে। নির্ধারিত দিনে, সকালে সকলে মিলে রওনা দিলাম। সঙ্গে হালকা টুকটাক খাবার-দাবারও নিয়ে নিলাম যেন রাস্তায় ক্ষুধা লাগলে খেতে পারি।

সিলেট শহরে ঢোকার আগেই শ্রীমঙ্গল এলাকায় আমাদের গাড়ি হঠাৎ স্টার্ট নিতে বন্ধ করে দিল। রবিন অনেক চেষ্টা করেও স্টার্ট করাতে পারল না। বনেট খুলে ও মেকানিকের মতো গাড়ি সারানোর চেষ্টা চালাতে লাগল। রাস্তার দুই পাশে বিস্তৃত সবুজ চা বাগান— অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। আমরা গাড়ি থেকে নেমে আশপাশে হাঁটতে লাগলাম।

শ্রীমঙ্গল চা বাগানের জন্য বিখ্যাত— এটা জানতাম, তবে এত সুন্দর যে মনটা একেবারে জুড়িয়ে গেল। হঠাৎ আকাশ মেঘে ঢেকে গেল, বাতাস শুরু হলো জোরে, বুঝলাম অচিরেই বৃষ্টি নামবে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক পাঁচটা। বৃষ্টির পূর্বাভাস আর গাড়ি ঠিক না হওয়ায় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম— আজ রাতে চা বাগানের ভেতর যদি কোনো বাংলো পাওয়া যায়, সেখানেই থেকে যাব।

একটা সরু মাটির রাস্তা ধরে আমরা হাঁটতে লাগলাম। কিছুদূর গিয়ে দেখি একটা পুরোনো ভাঙাচোরা সিঁড়ি। টিলার ওপরে উঠার সিঁড়ি মানে উপরে কিছু একটা আছে— আমরা কৌতূহলে সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম। ওপরে গিয়ে দেখি, একটা পুরোনো বাংলো— তবে আশেপাশে কোনো মানুষের উপস্থিতি নেই। তখন সন্ধ্যা নামতে শুরু করেছে। মোবাইলের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ভিতরে কারো থাকার চিহ্ন আছে কি না খুঁজছিলাম, এমন সময় পেছন থেকে কর্কশ কণ্ঠস্বর ভেসে এল— "আপনারা এখানে কী করছেন?"

চমকে পেছন ফিরে দেখি, একজন বৃদ্ধ লোক দাঁড়িয়ে আছেন। সাদা ধুতি, বাদামি ফতোয়া, লাল চোখ, পাকা চুল, রোগা-পাতলা গড়ন, কিন্তু দীর্ঘদেহী। আমরা তাকে আমাদের পরিস্থিতি খুলে বললাম। বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে শুরু করেছে। তিনি বললেন, “আপনারা চাইলে এই পরিত্যক্ত বাংলোটায় রাত কাটাতে পারেন। কেউ থাকেনা এখানে।” আমি জিজ্ঞেস করলাম, “আপনার পরিচয় জানতে পারি?” কিছুটা বিরক্ত গলায় তিনি উত্তর দিলেন, “আমি এই বাংলোর পুরোনো কেয়ারটেকার ছিলাম।”

বৃষ্টি বাড়তে থাকায় আমরা বারান্দায় উঠে পড়লাম। এক কোণে বৃদ্ধ লোকটি দাঁড়িয়ে রইল। খিদে পাচ্ছিল, কিন্তু খাওয়ার কিছু নেই। তখন রবিন ব্যাগ থেকে একটা ছাতা বের করে বলল, “গাড়িতে কিছু খাবার আছে, আমি গিয়ে নিয়ে আসি।” আমি যেতে চাইলেও রবিন বলল, “একটা ছাতায় দুজন গেলে দুজনই ভিজবে। আমি একাই যাব।”

রবিন বেরিয়ে গেল। বাইরে বৃষ্টি তুমুল। বৃদ্ধ লোকটি বলল, “বাইরে ভিজে যাবেন, ঘরের ভেতরে যান।”  আমরা মোবাইল এর টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করলাম। বাতাসে দরজা বার বার বাড়ি খাচ্ছিল, তাই দরজা আটকাতে বাধ্য হলাম। বাংলোটি খুব একটা বড় নয়। দুটো রুম, একটা রান্নাঘর আর একটা বাথরুম। ঘরের ভেতর পুরোনো খাট, ভাঙা চেয়ার, আর সব ধুলোবালি-মাকড়সার জালে ভরা। ঠিক থাকার মতো নয়, তবুও উপায় নেই।

ইলেক্ট্রিসিটি নেই, তাই মোবাইল এর টর্চ জ্বালিয়ে আমরা রবিনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকক্ষণ হয়ে গেছে, এখনও রবিনের ফিরে আসার কুনো নাম গন্ধ নেই। আমরা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। আসলে এই ঝড় বৃষ্টির রাতে রবিনকে একা যেতে দেয়া ঠিক হয় নাই। আমরা দরজা খুলে বারান্দায় বের হলাম। সেই বৃদ্ধ লোকটিকে কোথাও দেখা গেল না। আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম, এই ঝড় বৃষ্টির রাতে লোকটি চলে গেল কিভাবে। তার সাথে তো কোন ছাতাও ছিলনা। বৃষ্টি এসে আমাদের ভিজিয়ে দিচ্ছে তাই বারান্দায় বেশিক্ষণ দাঁড়ানো গেল না। আমরা আবার ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিলাম। বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো যাবে না। রবিনের কুনো বিপদ হল কিনা এটা ভেবে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। মোবাইলেরও নেটওয়ার্ক নেই যে রবিনকে একটা ফোন দিব। 

হঠাৎ পলাশ বলল, "আমার একটু বাথরুমে যাওয়া লাগবে, দেখি বাথরুমের কী অবস্থা।" এই বলে সে বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেল। বাথরুমের দরজা খুলেই সে তার নাক চেপে ধরে একটা জোরে চিৎকার দিয়ে বাথরুমের সামনে থেকে সরে আসলো। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে? পলাশ বলল, "বাথরুমের ভিতর খুব বাজে গন্ধ এবং চতুর্দিকে রক্তের অনেক দাগ।" এতক্ষণ আমাদের শুধু দুশ্চিন্তা হচ্ছিল, এখন কিছুটা ভয়ও লাগছে। বাইরে বৃষ্টি যেন থামতেই চাইছে না, এদিকে রবিনেরও আসার নাম নেই।

হঠাৎ টিনের চালে ধপাস করে কী যেন পড়লো। আমরা এতটাই ভয় পেলাম যে একজন আরেকজনের গায়ের সাথে ধাক্কা খেলাম। টিনের চালের উপর হাঁটার শব্দ শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা টিনের চালের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় হেঁটে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর টিনের চালে আর কোনো শব্দ শোনা গেল না। ভূতের গল্প অনেক পড়েছি কিন্তু বাস্তবে কোনদিন এমন ভৌতিক পরিবেশের সম্মুখীন হইনি।

আমাদের মোবাইলের টর্চের আলো আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে এবং পুরো ঘরটা আস্তে আস্তে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ভয়টা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করলো।

হঠাৎ দরজায় কে যেন দুইবার ধাক্কা দিল। আমরা ভাবলাম, মনে হয় রবিন এসেছে। কিন্তু দরজা খুলে আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম। সেই বৃদ্ধ লোকটি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ দুটি আগের চেয়ে আরও লাল হয়ে গেছে। আরেকটা অবাক বিষয় হচ্ছে, বৃদ্ধ লোকটির সমস্ত শরীর শুকনো। তার হাতে কোনো ছাতা দেখতে পেলাম না। এই বৃষ্টির মধ্যে সে বাইরে থেকে এসেছে, কিন্তু একটুও ভিজে নাই— ব্যাপারটা বেশ রহস্যজনক।

আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি কোথায় গিয়েছিলেন? আমাদের বন্ধু রবিন এখনও আসে নাই। তাকে খুঁজে আনার ব্যবস্থা করেন।" বাইরে বৃষ্টি থেমে গেছে। ঘড়িতে রাত এখন ২টা বাজে।

আমরা ঠিক করলাম, রবিনকে খুঁজতে বাইরে যাব। আমরা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। বৃদ্ধ লোকটিও আমাদের পেছন পেছন আসছে।

আমরা যখন আমাদের গাড়ির কাছে এসে পৌঁছালাম, তখন দেখলাম, গাড়ির আশেপাশে কেউ নেই। আমরা “রবিন রবিন” বলে তিন-চার বার চিৎকার দিলাম। কিন্তু কারো কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না। আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে গেলাম।

আমরা চা বাগানের ভিতর দিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলাম রবিনকে খুঁজার জন্য। মোবাইলের টর্চের আলো কমে এসেছে, ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না কিছুই।

কিছুদূর এগোনোর পরে দেখলাম, দুই দিকে দুইটা রাস্তা চলে গেছে। বৃদ্ধ লোকটি বলল, আমরা দুই ভাগ হয়ে খুঁজলে তাড়াতাড়ি খুঁজে ফেলা যাবে। বৃদ্ধ লোকটি হাত দিয়ে ইশারা করে বলল, একজন আমার সাথে এই রাস্তা দিয়ে আসেন, আর বাকি দুইজন ঐ রাস্তা দিয়ে সামনে এগুতে থাকেন।

বৃদ্ধের কথামতো আমরা দুই ভাগ হয়ে গেলাম। আমি আর পলাশ এক রাস্তা দিয়ে এগুতে থাকলাম, আর সাগর এবং ঐ বৃদ্ধ লোকটি অন্য রাস্তা ধরে এগুতে থাকলো। অনেক খুঁজাখুঁজির পরও রবিনের কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না।

এদিকের মোবাইলের টর্চের আলো নিভু নিভু করছে। অন্ধকারে ভালো করে কিছু দেখা যাচ্ছে না। আমরা ঠিক করলাম আপাতত ফিরে যাব। কারণ মোবাইলের টর্চের আলোয় ভালোভাবে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের মোবাইলের চার্জও প্রায় শেষ। টর্চের আলো নিভে গেলে অন্ধকারে আমরাও রাস্তা খুঁজে পাব না।

তাই আমরা ফিরে চললাম। হাঁটতে হাঁটতে যেখান থেকে আমরা দুই ভাগ হয়েছিলাম, সেই জায়গায় এসে পৌঁছালাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর দেখলাম, সেই বৃদ্ধ লোকটি হেঁটে হেঁটে আমাদের দিকে আসছে। কিন্তু বৃদ্ধ লোকটির সাথে সাগরকে দেখতে না পেয়ে আমরা আতঙ্কিত হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "কি ব্যাপার, সাগর কোথায়?"

বৃদ্ধ লোকটি ভুরু কুঁচকে উত্তর দিল, “তিনি তো আমার আগেই চলে এসেছেন।” আমরা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "কি বলেন আপনি? সাগর তো এখানে আসেনি।" বৃদ্ধ লোকটি বলল, "আমার প্রস্রাবের চাপ এসেছিল, তাই আমি উনাকে বলেছিলাম, আপনি এগুতে থাকেন, আমি প্রস্রাব করে আসছি।"

বৃদ্ধ লোকটিকে এখন আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু এখানকার কিছুই আমরা চিনি না, তাই বৃদ্ধ লোকটিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না যে আমরা তাকে সন্দেহ করছি। এই বৃদ্ধ লোকটিকে সঙ্গে নিয়েই এখান থেকে উদ্ধার পেতে হবে।

আমরা বৃদ্ধ লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম, “এখন তাহলে কী করা যায়?" বৃদ্ধ লোকটি বলল, "এক কাজ করেন, আপনারা বাংলোয় ফিরে যান, হয়তো আপনাদেরকে খুঁজে না পেয়ে তিনি বাংলোয় ফিরে গেছেন। আমি আশেপাশে একটু খুঁজে দেখি, যদি উনাকে খুঁজে পাই, তাহলে বাংলোয় নিয়ে আসবো।"

আমরা বৃদ্ধের কথামতো বাংলোর দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। বাংলোয় এসে পৌঁছে দেখলাম, রাত ৪টা বাজে। মোবাইলের টর্চের আলো একেবারে কমে এসেছে। আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। আমরা বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করলাম। অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল, তাই আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না, রুমের ভিতরে থাকা খাটের উপর বসে পড়লাম। কেমন যেন একটা ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

পলাশ চিন্তিত হয়ে রুমের ভিতর হাঁটাহাঁটি করছে। হঠাৎ পলাশ আমাকে বলল, "আমার খুব প্রস্রাবের চাপ এসেছে, তুই ঘরে থাক, আমি বাইরে গিয়ে ঘরের কোণে প্রস্রাবটা সেরে আসি।" আমি বললাম, "ঠিক আছে যা, তবে বেশি দূরে যাবার দরকার নেই আর কোনো অসুবিধা হলে আমাকে ডাক দিবি।" পলাশ রুম থেকে বের হয়ে গেল।

আমি রুমের ভিতর বসে বসে চিন্তা করছিলাম, কী করা যায়। আমরা যে একটা বিপদের মধ্যে পড়েছি সেটা বুঝতে পারছি। ঐ বৃদ্ধ লোকটিকে এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে। মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই, তাই কাউকে যে ফোন করে সাহায্য চাইবো, সেই উপায়ও নেই।

অনেকক্ষণ হয়ে গেল, পলাশের কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছি না, তাই আমি "পলাশ", “এই পলাশ" বলে দুই-তিনবার পলাশকে ডাক দিলাম। কিন্তু পলাশের কোনো সাড়া পেলাম না। ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে যাবার মত অবস্থা। আমি আস্তে আস্তে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। আমার মোবাইলটা বন্ধ হয়ে গেছে।

আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, সেই আলোর ঝলকে আমি পলাশকে খোঁজা শুরু করলাম। আমি হেঁটে হেঁটে যখন বাংলোর পেছনে গেলাম, তখন যে দৃশ্য দেখতে পেলাম, সেটা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

আমি দেখলাম সেই বৃদ্ধ লোকটি মাটিতে বসে আছে আর তার সামনে পলাশের দেহটা ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। বৃদ্ধ লোকটি পলাশের একটা বিচ্ছিন্ন হাত তার হাতে নিয়ে কামড়াচ্ছে।

আমাকে দেখেই বৃদ্ধ লোকটি উঠে দাঁড়ালো। আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না, শরীরের সব শক্তি একত্রিত করে পিছন ফিরে দৌড় শুরু করলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে একসময় চা বাগান থেকে বের হয়ে মূল রাস্তায় চলে আসলাম। দূরে কোনো মসজিদ থেকে ফজরের আযান ভেসে আসছে।

আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, রাস্তায় উল্টে পড়ে জ্ঞান হারালাম।

যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখলাম আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। আমার পাশে একজন ডাক্তার আর কিছু অপরিচিত লোক। লোকগুলো আমাকে জিজ্ঞেস করছে, "আপনার কী হয়েছিল? আপনাকে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমরা আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।"

আমার তিন বন্ধুকে হারিয়ে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। কাল রাতের ঘটনাগুলোর কথা চিন্তা করতে করতে আমি আবারও জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।

1 মন্তব্যসমূহ

  1. DoctypePDF.com is the best PDF search engine that helps you find PDF documents quickly and easily. You can search for free eBooks, research papers, guides, and more. Just type what you need, and DoctypePDF shows you results with the filetype PDF. It’s one of the best PDF search engines for students, researchers, and anyone looking to download PDF files for free.

    DoctypePDF.com was created by Mir Abul Kashem, a blogger, web designer, and web developer from Dhaka, Bangladesh. He was born on October 5, 1998, and is known for building useful websites that help people find information easily.

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন